একজন নরসুন্দর ও লেখক: সেলুনেই গড়েছেন হাজার বইয়ের পাঠাগার
স্কুলে যাওয়া বন্ধ হলেও নিজের লেখাপড়া বন্ধ করেননি প্রদীপ। রবীন্দ্রনাথ স্কুল পালিয়ে হয়েছেন বিশ্বকবি, আর প্রদীপ স্কুল হারিয়ে হলেন সম্ভাবনাময়ী একজন কবি। নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করা প্রদীপের এখন পর্যন্ত প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৯টি। এর মধ্যে কাব্যগ্রন্থ ছয়টি। আর শিশুতোষ গ্রন্থ, উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থ লিখেছেন একটি করে। প্রথম কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে।

ছবি: রাফিয়া মাহমুদ প্রাত
পুরো নাম প্রদীপ প্রোজ্জ্বল। জন্ম ১৯৮৫ সালে কক্সবাজারের চকরিয়ার মালুমঘাট ডোমখালীতে। বাবা ছিলেন পুলিশ। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে বাবা-মা কাউকেই কাছে পাননি। বড় হয়েছেন মামা আর দিদিমার (নানি) কাছে। তিন বছর বয়স থেকেই জীবনের নিষ্ঠুর এক বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাকে। কাছ ছাড়া হয়েছিলেন নিজের আপনজনদের থেকেই। তাই সবসময় প্রদীপ এমন কিছু করতে চাইতেন, যা কখনো তাকে ছেড়ে যাবে না। মামা ছিলেন পেশায় একজন নরসুন্দর। মামার থেকে তাই কাজটা শিখে নিলেন। নিজের শেখা কাজ তো আর তাকে ছেড়ে যাবে না- এমনটাই বলছিলেন প্রদীপ!
পারিবারিক প্রতিবন্ধকতা ও দরিদ্রতার কারণে লেখাপড়ায় ভালো হয়েও পড়ালেখা বেশি দূর এগোয়নি প্রদীপের। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা অবস্থায় মামার সঙ্গে সেলুনে টুকটাক হাত লাগানোর কাজ শুরু করে দেন। এর পর স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গপড়েছেন নবম শ্রে
কক্সবাজার থেকে ঢাকায় এসে ওয়ারীতে কয়েক বছর এই কাজ করেছেন প্রদীপ। একসময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনেও (এফডিসি) কাজের সুযোগও পেয়েছিলেন। তার অনেক বন্ধু আজও সেখানে আছেন শিল্পী হিসেবে। কিন্তু প্রদীপ যাননি। কারণ, তার ওপর ছিল অনেকগুলো মানুষের দেখভালের দায়িত্ব।
এরপর প্রদীপ ঢাকা থেকে ফিরে যান চট্টগ্রামে। চকবাজারের আতুরার দোকান এলাকায় নিজের প্রথম সেলুন প্রতিষ্ঠা করেন ২০১০ সালে। নাম দেন 'অদ্বৈত হেয়ার ড্রেসার'। সেই থেকে তার জীবিকার একমাত্র উৎস এই সেলুন, যা তাকে আজও ছেড়ে যায়নি। বরং সেলুনের মাধ্যমেই নরসুন্দর ছাপিয়ে তার িত বই ৯টি েমে পড়েন।
খন অনযকিছু!
ত, প্রকাশি এ পেশায় ন্পরিচয় এণি পর্যন্েলে পুরোপুর