বাংলাদেশি ওয়াচ মেকার: দেশের প্রথম হাতঘড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান
ফিউল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম—দুই ভাইয়ের হাত ধরেই যাত্রা শুরু এই প্রতিষ্ঠানের। দীর্ঘদিন কর্মসূত্রে তারা ছিলেন প্রবাসে, কিন্তু দেশের টান আর সংস্কৃতির টান থেকে দূরে থাকতে পারেননি কেউই। তাই প্রতিষ্ঠানের নামেও জুড়ে দিয়েছেন মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা—‘বাংলাদেশি ওয়াচ মেকার’।

ইলাস্ট্রেশন: টিবিএস
রাজধানীর ধানমণ্ডি ২৭ নম্বরে বাংলাদেশ আই হসপিটালের সামনে দাঁড়ালে চোখে পড়ে এক ভিন্ন দৃশ্য। বিপরীত দিকের একটি ঝকঝকে ভবনের পাঁচতলা থেকে ঝুলছে জাতীয় বীরদের প্রতিকৃতি—বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ও কাজী নজরুল ইসলামের ছবি। স্বভাবতই কৌতূহল জাগে—কী ভবন এটি? কাছে গেলে দেখা যায় ভবনের নাম 'কনকর্ড এমিন্যান্স'।
এই ভবনেরই পাঁচতলায় গড়ে উঠেছে এক অনন্য স্বপ্নের কারখানা—বাংলাদেশের প্রথম হাতঘড়ি তৈরির প্রতিষ্ঠান 'বাংলাদেশি ওয়াচ মেকার'। এখানকার বিশেষত্ব হলো, ঘড়ির ডায়ালে ফুটে ওঠে বাংলা অক্ষর ও সংখ্যার মেলবন্ধন। ফলে একটি সাধারণ হাতঘড়ি হয়ে ওঠে দেশীয় সংস্কৃতির প্রতীক, গড়ে তোলে সময় আর পরিচয়ের সূত্র।
রাফিউল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম—দুই ভাইয়ের হাত ধরেই যাত্রা শুরু এই প্রতিষ্ঠানের। দীর্ঘদিন কর্মসূত্রে তারা ছিলেন প্রবাসে, কিন্তু দেশের টান আর সংস্কৃতির টান থেকে দূরে থাকতে পারেননি কেউই। তাই প্রতিষ্ঠানের নামেও জুড়ে দিয়েছেন মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা—'বাংলাদেশিনিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ
শৈশবেই ঘড়ির প্রতি ভালোবাসা জন্মেছিল দুই ভাইয়ের। বাবা প্রতিদিন হাতে ঘড়ি পরতেন, সেই দৃশ্য থেকেই জন্ম নেয় অনুরাগ। সময়ের সঙ্গে তারা সংগ্রহ করেছেন নানা ঘড়ি, তবু মনে প্রশ্ন ছিল—বাংলাদেশে কেন কেউ হাতঘড়ি তৈরি করে না? বিদেশি ব্র্যান্ডে ভরপুর বাজারে দেশীয় উদ্যোগের অভাব তাদের ভাবিয়েছে বারবার। সেই না-পাওয়া উত্তরই একসময় হয়ে দাঁড়ায় অনুপ্রেরণা।
২০২০ সালের করোনা মহামারির সময় রাফিউল চৌধুরী শুরু করেন ঘড়ি তৈরির প্রাথমিক চেষ্টা। অসংখ্য ঘড়ি খুলেছেন, নষ্টও করেছেন, আবার জোড়া দিয়েছেন। ছোটবেলার সেই অভ্যাসটাই যেন হয়ে ওঠে ঘড়ি শেখার স্কুল। তখন রাফিউলের অবস্থান ছিল নিউইয়র্কে। সেখানে তিনি ঘড়ি নিয়ে বিস্তর পড়াশোনা করেছেন, ঘুরে ঘুরে খুঁজেছেন অভিজ্ঞ ঘড়ি নির্মাতাদের, তাদরে কাছ থেকে শিখেছেন হাতে-কলমে। ইউটিউব ভিডিও ও বই থেকেও ন
িয়েছেন জ্ঞান।
েকা
র'।
াচ ম ওয়